১২/০৭/২০২২ তারিখ বেলা ১১.৪০ ঘটিকায় কোতয়ালী মডেল থানাধীন শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড়ে স্থানীয় ইয়াসিন আরাফাত হুজুর হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী শংকরপুর চোপদারপাড়া সাকিনের মৃত আঃ লতিফের ছেলে বদিউজ্জামান ধনি (৫০) কে প্রতিপক্ষ শামীম আহম্মেদ মানুয়া (নিহত ইয়াসিন আরাফাত এর শশুর) এর নির্দেশে মানুয়া এর ভাগিনা রায়হানের নেতৃত্বে ৭/৮ জন দূর্বৃত্ত কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এই ঘটনা সংক্রান্তে নিহত বদিউজ্জামানের ভাই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে এজাহার দিলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৫৩, তাং-১৩/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম কোতয়ালী থানা ও ডিবি পুলিশকে জড়িতদের গ্রেফতার এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন।

গ্রেফতার অভিযানঃ পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম  (বার), পিপিএম এঁর দিক-নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এসআই আনছারুল হক এর নেতৃত্বে কোতয়ালী থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা যৌথভাবে অদ্য ১৪/০৭/২০২২ তারিখ রাতে যশোর কোতয়ালী থানাধীন টিবি ক্লিনিক পাড়া ও খুলনার দিঘলিয়া বারাকপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামী রায়হান ও এজাহারনামীয় ৭নং আসামী ইছামীরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড়স্থ ভাঙ্গারী পট্টি মসজিদের পুকুর থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত ২টি গাছি দা, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত বদিউজ্জামান ওরফে ধনি, যশোর জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছিল। একই এলাকার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি পদ প্রার্থী আসামী শামীম আহম্মেদ মানুয়া এর মধ্যে ধনি’র দীর্ঘদিনের দলীয় কোন্দল এবং মানুয়া এর জামাতা ইয়াসিন আরাফাত এর হত্যাকে কেন্দ্র করে সর্বোপরী এলাকায় দলীয় বিএনপি’র আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে বদিউজ্জামান ওরফে ধনিকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে জানা যায়। নিহত বদিউজ্জামান ধনি ও আসামীদের পিসি/পিআর যাচাই করে দেখা যায় , নিহত ধনি’র বিরুদ্ধে ২টি হত্যা মামলা, ১টি অস্ত্র মামলা, ১ সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলা, ১টি বিস্ফোরক মামলাসহ মোট ১২ টি মামলা বিচারাধীন আছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামী রায়হানের বিরুদ্ধে ১টি অস্ত্র মামলা, ১টি মাদক মামলা, ২টি চাঁদাবাজী মামলাসহ ৪ টি মামলা বিচারাধীন আছে ।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ঠিকানাঃ
১। মোঃ রায়হান (২৫), পিতা- মোঃ ফরিদ মুন্সি, সাং-রেলরোড টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের দক্ষিন পার্শ্বে
২। ইছা মীর (২০), পিতা-মোঃ বাবু মীর, সাং-শংকরপুর হারানবাড়ীর পার্শ্বে, উভয় থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।
৩। আলামিন  (চোর আলামিন) (২৫), পিতা- মোঃ রইজ, সাং- টিবি ক্লিনিক, থানা- কোতোয়ালি, জেলা-যশোর। (RAB কর্তৃক ধৃত)

  • উদ্ধারকৃত আলামতঃ
  • (ক) ০২টি গাছি দা।
  • (খ) ০১টি চাইনিজ কুঁড়াল।
  • (গ) ০১টি বার্মিজ চাকু।

জেলা পুলিশ যশোর।